মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে দিন যতই এগোচ্ছে ততই মর্মান্তিক দৃশ্য ভেসে উঠছে চোখের সামনে।দীর্ঘ পথযাত্রায় প্রচণ্ড গরম, ক্ষুধা এবং ক্লান্তির কাছে হেরে গেছেন এক মা। তার নিথর দেহ চাদরে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে রেল স্টেশনে। এই মায়ের কোলেই ছিল ছোট্ট এক শিশু। মা মারা গেছেন; সেটি বোঝার ক্ষমতাও হয়নি তার।
রেলস্টেশনে চাদরে ঢেকে রাখা মাকে ঘুমিয়েছেন মনে করে বারবার জাগানোর চেষ্টা করছে শিশুটি। কিন্তু কোনও সাড়া মিলছে না মায়ের। বিহারের একটি রেলস্টেশনের হৃদয়বিদারক এই দৃশ্য ভারতে লকডাউনের কারণে অভিবাসী শ্রমিকদের করুণ দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেছে; যা নাড়া দিয়েছে দেশটির কোটি কোটি মানুষকে। সম্পর্কিত খবর লকডাউনে স্পর্শে ‘না’, যৌনকর্মীদের পেশা বাঁচানোর চেষ্টা অনলাইনে৪ দফা দাবিতে স্পেনে অবৈধ অভিবাসীদের বিক্ষোভ (ভিডিও)খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত বিহার রাজ্যের মুজাফফরপুর রেল স্টেশনের এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা যায়, চাদরে ঢাকা মৃত মায়ের পাশে খেলছে শিশুটি। খেলার ফাঁকে বারবার মায়ের শরীর থেকে চাদর সরিয়ে তাকে জাগানোর চেষ্টা করছে। শিশুটি দেখছে, চাদর সরলেও তার মা নড়ছেন না। মুজাফফরপুরের রেলস্টেশনে সোমবার রাতে শ্রমিকদের বিশেষ অভিবাসী ট্রেনে চেপে ফেরেন ওই মা। অতিরিক্ত গরম, ক্ষুধা এবং দীর্ঘযাত্রার ক্লান্তির কারণে স্টেশনে নামার পরই চেতনা হারিয়ে ফেলেন তিনি। একই স্টেশনে দুই বছর বয়সী এক শিশুও অনাহারে এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মারা গেছে।
এই শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে দিল্লি থেকে বিহারে ফিরে আসে রোববার। ওই নারীর পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, খাবার এবং পানির অভাবে তিনি মারা গেছেন। রোববার গুজরাট থেকে একটি ট্রেনে করে বিহারে আসছিলেন তিনি। সোমবার ট্রেনটি মুজাফফরপুরে পৌঁছানোর পরপরই তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে মরদেহ রাখা হয়।