বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেলেন ভারতীয় যোগী প্রহলাদ জানি। প্রহলাদ জানি দাবি করতেন, কোন রকম খাবার এবং পানি ছাড়াই তিনি সাত দশকের বেশি সময় ধরে বেঁচে আছেন। আর এ জন্যই পুরো ভারতজুড়ে অসংখ্য ভক্ত ছিল তার। মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যোগী প্রহলাদ জানির প্রতিবেশী শীতল চৌধুরী বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান। যোগীর মরদেহ আম্বাজি শহরে তার তৈরি আশ্রমে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুদিন রাখা হবে। বার্তা সংস্থা এএফপি'র প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের গুজরাটের চারাদা গ্রামে বাস করতেন প্রহলাদ জানি ।
মাতাজি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই ব্যক্তি সবসময় লাল কাপড় পরতেন। জানা গেছে ১৯২৯ সালের আগস্ট মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভারতীয় যোগী প্রহলাদ জানি। এই যোগী দাবি করতেন, ধ্যান করেই কাজের শক্তি পান। যোগী প্রহলাদ জানির এমন দাবির কারণে বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. এপিজে আবুল কালামও রয়েছেন। এমনকি তার আশ্রমের গাছের ওপরও পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররা কোনও সূত্রই খুঁজে পাননি এবং তার জীবন প্রণালী নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারেননি। এর আগে ২০১০ সালে ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অব ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (ডিআইপিএএস) এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপম্যান্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) খুব কঠোর পরিবেশে তাকে সম্পূর্ণ আলাদা স্থানে রেখে ১৫ দিন তাকে পর্যবেক্ষণ করেছে। তার এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড, এক্স-রে এবং সূর্যালোকের নিচে বিরামহীন ভিডিও রেকর্ড করা হয়। কিন্তু সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার না খেয়ে থাকার দাবি ভুল প্রমাণ করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ইত্তেফাক/এআর