‘...মনে হলো প্রাণটা বেরিয়ে যাবে’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২০, ১৭:৫১

প্রশ্ন: অভিষেক টেস্টের নানা স্মৃতিই তো থাকে। এমন একটি স্মৃতি শুনতে চাই, যেটি মনে পড়লে আপনার খুব হাসি পায়।

মুশফিকুর রহিম: নিশ্চয়ই জানেন, অনূর্ধ্ব-১৯ খেলার সময়ই আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাই। (২০০৫ সালে) ইংল্যান্ড সফরের সুযোগ পাওয়ার আগে যুব দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া সফর থেকেই তাড়াহুড়ো করে বাংলাদেশ দলের ইংল্যান্ড সফরে যোগ দিতে হয়। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সেভাবে জোরে বোলিং করা বোলারকে খেলতে হয়নি। তখন এক ধরনের গার্ড ব্যবহার করতাম, যেটার দাম ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা দাম। ওই গার্ড যখন ব্যবহার করেছি, তখন বুঝিনি এটা এত গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আমাকে তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। অভিষেক টেস্টে অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের একটা বল আমার লাগার পর মনে হলো প্রাণটা বেরিয়ে যাবে! ব্যাটিংয়ের সময় কোনো একটা বিরতিতে ড্রেসিংরুমে এসে দেখি (তলপেটের) গার্ড দশ টুকরো হয়ে গেছে। তখন উপলব্ধি হয়েছে গার্ডের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই (হাসি)! এই অভিজ্ঞতার পর সব সময়ই আগে নিশ্চিত করি, গার্ড যেন ভালো হয়।

প্রশ্ন: দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের বেশ কয়েক প্রজন্মের ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছেন, কাছ থেকে দেখেছেন। ১৫ বছর আগের খেলোয়াড়দের সঙ্গে এখনকার তরুণদের মৌলিক পার্থক্যটা কোন জায়গায়?
মুশফিক: যখন শুরু করি, আমি, সাকিব (আল হাসান), তামিম (ইকবাল) অনেক সৌভাগ্যবান ছিলাম। সুমন ভাই (হাবিবুল বাশার), (মোহাম্মদ) রফিক ভাই, মাশরাফি ভাই (বিন মুর্তজা), জাভেদ ভাই (ওমর বেলিম), রাজিন (সালেহ) ভাইদের অধীনে আমরা ক্যারিয়ার শুরু করেছি। তাঁদের অনেক সহায়তা পেয়েছি। তখন অনেক ম্যাচ ব্যর্থ হলেও তাঁরা যে সমর্থন দিয়েছে, সেটি না পেলে এত দূর নাও আসতে পারতাম। সত্যি বলতে ওই সময়ের সঙ্গে এখনকার ক্রিকেটারদের অনেক পার্থক্য আছে। আমাদের শুরুর সময় অনেকে হয়তো নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট থাকত। আসলে তখন ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়ই কম ছিল। এখন যে দলে নতুন আসুক, সে জানে এই দলে সাকিব, তামিম, রিয়াদ ভাই, মাশরাফি ভাই কিংবা এমন খেলোয়াড় আছে, যারা একাই দলকে জিতিয়ে দিতে পারে। এখন যেকোনো খেলোয়াড় এই ভাবনা নিয়েই আসে যে আমাকে এই পর্যায়ে ভালো খেলতে হবে, এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এটা চ্যালেঞ্জ ও ভীষণ চাপের। তবে দেখেন তাদের স্ট্যান্ডার্ড শুরু হচ্ছে অনেক উঁচু পর্যায় থেকে। তাদের চিন্তাভাবনাও অন্য রকম হতে হয়। নিজের খেলা নয়, দলকে জেতাতে যা করণীয় সেটাই তাকে করতে হয়। ১৫ বছরে আমাদের দলে এটাই বড় পরিবর্তন। আবারও সাকিব-তামিমকে কৃতিত্ব দিই। সুমন ভাইয়েরা যেখানে শেষ করেছেন, তারা সেখান থেকে অনেক দূরে নিয়ে গেছেন। আমরা এটা এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাই, যেটা পরের প্রজন্ম আরও সামনে টেনে নিয়ে যেতে পারে।

প্রশ্ন: ১৫ বছরে অনেক কোচের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে আপনার। আপনাকে যদি তালিকা করতে বলা হয় কোন কোন কোচকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখবেন?

মুশফিক: নাজমুল আবেদীন ফাহিম স্যার আর মতি স্যার (মতিউর রহমান)। দুজনই বিকেএসপির। এই দুজন বলতে গেলে ক্যারিয়ারের একবারে শুরু থেকে আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি আছেন। আমার খারাপ-ভালো, দুই সময়েই তাঁরা আমার সঙ্গে থাকেন। বেশিরভাগ সময় দুজনকে ফোন দেওয়া হয়। বিশেষ করে খারাপ সময়ে বেশি যোগাযোগ হয়। বিদেশি কোচদের মধ্যে জেমি সিডন্স। তিনি ব্যাটসম্যানদের জন্য স্পেশাল কোচ ছিলেন। তাঁর কিছু টেকনিক, কৌশল খুবই ভালো ছিল। এরপর চন্ডিকা হাথুরসিংহে। এ দুজন ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক ভালো কোচ ছিলেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

রংপুরের বিপক্ষে মাশরাফিদের মান বাঁচানো পুঁজি

ঢাকা পোষ্ট | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম
২ মাস আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us