০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের জয়ের জন্য হার্দিক পান্ডিয়ার শেষ ওভারে দরকার ১১ রান, উইকেটে দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম। হার্দিকের প্রথম বলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে এক রান। পরের দুই বলে টানা দুই চার মুশফিকের। শেষ ৩ বলে দরকার মাত্র ২ রান। মুশফিক তো তখন উল্লাসে মেতে উঠেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ সেই ম্যাচেই বড় শিক্ষা পেয়ে যায় যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত উল্লাস করা ঠিক নয়।
'মি. ডিপেন্ডেবল' খ্যাত মুশফিক চতুর্থ বলটাতে ডিপ মিডউইকেটে তুলে মারতে গিয়ে শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন। পরের বলটিতে ফুলটস পেয়ে স্লগ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহও, সীমানার কাছে ক্যাচ নেন রবীন্দ্র জাদেজা। হার্দিকের শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। স্ট্রাইকে থাকা শুভাগত হোম বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। দৌড় দিতে গিয়ে স্ট্রাইকিং এন্ডে এসে রান-আউট হন মুস্তাফিজুর রহমান। ১ রানে অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ জিতে যায় ভারত। দলের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের এমন কাণ্ডে স্তব্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জন্য আরও কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
গতকাল শনিবার রাতে তামিম ইকবালের লাইভে এসে এই ভায়রা-ভাই জুটি বলেন, বিশ্বকাপের ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে তাদের পাক্কা দুই বছর লেগেছে। তামিমের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, 'আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। কারণ আমরা জানি তখন কিরকম পরিস্থিতি ছিল। আসলে ওই ঘাঁ কখনও হয়তো শুকাবে না। আমি যখন খেলায় ফিরলাম, বেশিরভাগ সময়ই লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করি।