হালদার ডিম নিয়ে ‘রেকর্ডবাজি’, জেলেরা বলছেন ভিন্ন কথা
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০, ১৮:৫৫
দেশের একমাত্র কার্প–জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউশ মা–মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করে। বিকেল ৩টার কিছু পরই চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত ১৪ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ডিম সংগ্রহ হয়েছে। যদিও সেদিন এর পরেও প্রায় আরও তিন ঘণ্টা ধরে নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেন জেলেরা।
গত শুক্রবার বিকেলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী স্বাক্ষরিত সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ডিম পাওয়া গেছে ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি। ২৮০টি নৌকা নিয়ে ৬১৬ সংগ্রহকারী এ ডিম সংগ্রহ করেন। যেখানে গত বছর ডিম সংগ্রহ হয়েছিল মাত্র সাত হাজার ৮০০ কেজি।’
বছরের ব্যবধানে হঠাৎ কোন জাদুতে হালদা নদীতে তিনগুণেরও বেশি ডিম মিলল— সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে জাগো নিউজ। সেই খোঁজে অনেকটা কেঁচো খুঁড়তে সাপ দেখতে পাওয়ার মতোই চমকে দেয়া তথ্য আসে এ প্রতিবেদকের হাতে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিচার্স ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিফতর এবং ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ) যৌথভাবে হালদা থেকে প্রাপ্ত ডিমের যে পরিমাণ নির্ধারণ করেছে তার সঙ্গে বিস্তর ফাঁরাক মাঠের তথ্যের। ডিম আহরণকারী জেলেরাও বলছেন ভিন্ন কথা। আয়নাবাজির আয়নাতে যেমন সবকিছু উল্টো উল্টো দেখায় তেমনি এবার হালদার ডিমের পরিমাণ নির্ধারণে সোজা হিসাব উল্টে দিয়ে ঘটান হয়েছে ‘রেকর্ডবাজি’!