করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘সরকার দৈনিক ১৫ হাজার টেস্টে যাচ্ছে। তাদের সুপারিশ রয়েছে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টেস্ট করতে।’ অবশ্য সকল পিসি আর ল্যাব একত্রিত করলে দেশে টেস্টের সামর্থ্য ৩০ হাজারই। তিনি মনে করেন, করোনা সংক্রমণের বর্তমান ‘ঊর্ধ্বমুখী ধারা’ আগামী এক মাসে নিম্নমুখী হতে পারে। কিন্তু সেটা লকডাউনের কার্যকরতা তথা জনগণের আচরণের ওপর বহুলাংশে নির্ভর করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে জুমে প্রথম আলোকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক শহীদুল্লাহ এ কথা বলেন।
এ সময় ঈদে গণ যাতায়াত ও গণসমাবেশ রোধ করতে না পারলে দেশে করোনা ‘সংক্রমণের নতুন ঢেউ’-এর আশঙ্কা ব্যক্ত করেন তিনি।গত ১৮ এপ্রিল দেশে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার দেশের জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্যের ওই কমিটি করোনা মোকাবিলায় ২২টি সুপারিশ করেছে। এখন থেকে কমিটি এর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। এ জন্য কমিটি হাসপাতালের সেবার মান উন্নত করার ওপর জোর দেবে। কমিটির সদস্যরা শিগগিরই বিভাগীয় সদরে সরেজমিন পরিদর্শনে যাবেন।
কমিটি সরকারকে বলেছে, ২২টি চেকলিস্টের ভিত্তিতে প্রতি জেলার সিভিল সার্জনকেও নির্দেশনা দেওয়া উচিত।এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, টেস্টিংয়ের আওতা বাড়ানোর গুরুত্ব দিয়ে ২৭ এপ্রিল তাঁরা সরকারকে রিপোর্ট দেন। ৫ মে সরকার বলে, কাজ শুরু করে দিয়েছি। কয়েক দিন পরে আরও ভালোভাবে বলতে পারবে। এরপর ১২ মে তাঁরা বেজ লাইন সার্ভে বা মধ্যবর্তী মূল্যায়ন করেন।