মনবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উত্তরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০, ০৪:৩৬
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই সারাদেশেই সাধারণ মানুষের মাঝে ছিল কাজ হারানোর উৎকণ্ঠা আর সংশয়। ছিল পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে দিন কাটানোর ভয়। এমন পরিস্থিতিতে এই দুর্যোগময় অবস্থায় মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি কিংবা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী নানা প্রতিষ্ঠান। অসহায় দরিদ্রদের মুখে খাবার তুলে দিতে অংশ নেয় সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
মানবতার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে লড়ে গেছেন যে যার অবস্থান থেকে। এমনই একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন মোল্লা। ৩০শে জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মত বিজয়ী হয়েছেন তিনি। একাধারে তিনি মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। রাত-দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে স্থাপন করেছেন মানবতার দৃষ্টান্ত।
কোভিড-১৯ এর প্রভাব বিস্তারে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়া সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আর অভাব যেন কিছুটা হলেও লাঘব করতে চেষ্টা করেছেন এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর। মে মাসে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই টানা দু'মাস অসহায়-দুঃস্থ, গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন টনকে টন চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, আলুসহ নানা ধরণের নিত্যপণ্য। এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজারের বেশি পরিবারকে এ সহায়তা দিয়েছেন ১৩নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর।
কাউন্সিলর হিসেবে কাগজে-কলমে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর সিটি করপোরেশন থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক দেয়া সরকারি সহায়তা পৌঁছেছেন ২৫শো পরিবারের মাঝে। এমনকি রমজান মাসের প্রতিটি দিন ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় রান্না করে ইফতার করিয়েছেন ১হাজার মানুষকে। হাসি ফুটেছে দুঃস্থ-অসহায়দের মুখে। সাধুবাদ জানিয়েছেনও অনেকে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ১ হাজার পরিবারের মাঝে কয়েক পদের সেমাই, দুধ, চিনি, রান্নার নানা ধরণের মসলাসহ বিভিন্ন উপকরণের উপহার প্যাকেজ পাঠিয়েছেন তিনি। এটাও তার ব্যক্তিগত খরচেই করছেন তিনি। এমনকি ঈদের দিন দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে উৎসবভিত্তিত রান্না অর্থাৎ সেমাই, ফিন্নিসহ নানা ধরণের খাবার পরিবেশনের উদ্যোগও নিয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর।
উত্তর সিটির এই কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন মোল্লা বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণেই অনেকে গৃহবন্দি। অনেকের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে, পরিবার পরিজনের মুখে আহার তুলে দেয়ার সামর্থও হারিয়েছেন অনেকে। এ অবস্থা মানবিক দৃষ্টিকোন থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়াতেই এসব উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি৷ এমনকি, এলাকাবাসীর ম্যান্ডেট নিয়েই সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াতেই কাউন্সিলর হয়েছি। যদি তাদের কাজে আসতে না পারি, তবে কবে সফল হবো, প্রশ্ন ছিলো তাঁর।