'আমরা ত্রাণ চাই না, চাই শক্ত একটা বেড়িবাঁধ'

নয়া দিগন্ত প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০, ২২:০৯

অতি শক্তিশালী সাইক্লোন আমফান উপকূলে আঘাত হানার পর দুদিন পার হয়ে গেলেও এখনো দক্ষিণাঞ্চলের অনেক গ্রাম পানিতে ডুবে আছে। এসব এলাকায় বাড়িঘর, এবং কৃষিজমি ও চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্গত মানুষদের কাছে কিছু কিছু ত্রাণ পৌছাচ্ছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়, এবং ভেঙে পড়া বাঁধগুলো এখন পর্যন্ত মেরামত না হওয়ায় এখনো বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একজন স্বেচ্ছাসেবক মানিক হোসেন বলছেন, ঝড়ের দিন অনেকে এমনকী অনেক কর্মকর্তাও তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, কিন্তু ঝড় থেমে যাবার পর কেউ তাদের খোঁজও নেয়নি। "আমাদের গাবুরার লেবুগুনি নামে একটা গ্রাম আছে, ওখানে জোয়ারের পানিতে অনেকখানি রাস্তা ভেঙে পুরা তিনটা গ্রাম তলায় গ্যাসে। এখনও সেখানে বাঁধ দেয়া সম্ভব হয়নি, এখনও সেইভাবে রয়েসে। কারোর একেবারে সব ঘরটর ডুবে গ্যাসে, মানুষ চালের ওপরে রইসে, এরকম অবস্থা," বলছেন মানিক হোসেন। মানিক হোসেন বলছেন, এলাকার দুই তিন হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছেন।


তিনি বলছেন পানিবন্দী মানুষের কাছে সাহায্য সেইভাবে পৌঁছয়নি। কিছু কিছু মানুষ সাহায্য পাইসে, অল্প অল্প করি খাদ্য দিসে, কেউ পাইসে, কেউ পায়নি। তিনি বলছেন এই সময়টায় জোয়ারের পানি বেশি ওঠে, যে কারণে এখন বাঁধ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। "নদীতে এখন প্রচণ্ড স্রোত," মানিক হোসেন বলছেন, তাই কিছু কিছু জায়গায় যেখানে মানুষের বাসার সামনে বাঁধ ভেঙেছে, সেখানে এলাকার মানুষ নিজেরাই কিছুটা মেরামত করে নিয়েছে। এর থেকে বেশি করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।

"পুরা তিনটা গ্রাম পানির নিচে, দেখলে মনে হবে ছোট ছোট দ্বীপ।" মানিক হোসেন বলছেন "এখানে মানুষ চায় শক্ত একটা বেড়িবাঁধ। মানুষের একটাই দাবি এখন- আমরা ত্রাণ চাই না, আমরা একটা নিরাপদ আর শক্ত বেড়িবাঁধ চাই।" তিনি বলছেন যাতে মানুষকে বারবার দুর্ভোগ পোহাতে না হয়: "আইলায় একবার (গ্রামগুলো) ডুবে গ্যাসে, সিডরে ডুবে গ্যাসে, আম্পানে আবার ডুবে গেল, এজন্য মানুষ চায় শক্ত একটা বেড়িবাঁধ।" ঘূর্ণিঝড় আম্পান:বিপর্যস্ত সাতক্ষীরার মানুষতিনি বলছেন ঘরবাড়ি হারিয়ে মানুষ যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি তাদের জীবন জীবিকাও এখনও বড়ধরনের হুমকির মুখে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us