ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আজ শুক্রবার (২২ মে) স্বাভাবিক হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থ বিতরণ লাইন মেরামতসহ অন্যান্য ত্রুটি সারাতে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।
বুধবার (২০ মে) রাতে ওই ঝড়ের তান্ডবে পল্লী বিদ্যুতের ২৬ হাজার স্পটে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে; ১৭শ খুঁটি ভেঙে গেছে, তিন হাজার ৭০০ খুঁটি হেলে গেছে। এছাড়া মিটার ভেঙ্গেছে ২০ হাজার গ্রাহকের, ৭২৬টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ঝড়ের পর থেকে ওইসব এলাকার প্রায় সোয়া দুই কোটি গ্রাহক দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন ছিল। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সারাদিনের মেরামতে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও উপকূলীয় এবং উত্তরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
এদিকে আম্পানের প্রভাবে বুধবার রাতে রাজধানীসহ দেশের অনেক জেলায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়।রাজশাহীর আট জেলার বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকিউল ইসলাম বলেন, তারা অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পেরেছেন।বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট এলাকগুলোতে বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আড়াই হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।