আমার কাছে তিনি এখনো শেখ হাসিনা – আব্দুল গাফফার চৌধুরী
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০, ০৭:৪০
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সর্ব ইউরোপিয়ান আ’লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের পরিচালনায় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট শ্রদ্ধেয় আব্দুল গাফফার চৌধুরী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আ’লীগের নেতা কর্মীরা।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন,১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য দিন।এদিন যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো তা আমরা ফিরে পেতাম না,বঙ্গবন্ধু যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আমরা পেতাম না।হয়ত সেখানে আমরা পেতাম মধ্যপ্রাচ্যের আবগানিস্তান বা ইরাকের মত প্রায় একটি ধ্বংসের মুখে যাওয়া দেশ,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বহি:আক্রমণ অভ্যন্তরীন দুর্দশায় সাম্প্রদায়িকতার অভ্যুদয় জিহাদিষ্টের অত্যাচারে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশ।এই ধ্বংস থেকে আমি বলবো শেখ হাসিনাই দেশটাকে রক্ষা করেছে।বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছেন আর সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছে শেখ হাসিনা।এর চাইতে বড় কথা শেখ হাসিনার সম্পর্কে নেই।আমি মনে করি শেখ হাসিনা একজন ইতিহাস ’পুরুষই’বলবো,’মহিলা’ বলবো না।কারন এক সাংবাদিক তাকে বলেছিলো তিনি হি (He) সি (She) নয়।আমাদের স্বাধীনতা রক্ষাকারী, তাকে সংরক্ষনকারী এবং তাকে এতো প্রতিকুলতার মধ্যে যে ভাবে ধরে রেখেছেন তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি ঐতিহাসিক।আমার ধারনা এটি ইতিহাসে খুব ভালো ভাবে লেখা থাকবে।গবেষকদের উচিত এই দিনটির ঐতিহ্য গুরুত্ব নিয়ে লেখা।এই দিনটি যে আমরা পালন করছি তার গুরুত্ব তুলে ধরা।
আমি শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন কামনা করি এবং মনে করি তিনি অতীতে যেভাবে মহামারি ,প্লাবন,ঝড় এই সব সংকটের মুখে জাতিকে যেভাবে রক্ষা করেছেন এবং ভয়াবহ তথাকথিত ইসলামিক সন্ত্রাসীদের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন সেই ভাবে এবারেও করোনার বিরুদ্ধে সন্মিলিত ঐক্য প্রচেষ্টা নিয়ে দেশটাকে বাঁচাতে পারবেন।হাসিনা ছাড়া এই কাজটি আর কেউ করতে পারবেনা।আমি মনে করি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন ইতিহাস পুরুষ।ভবিষৎতে তার নাম চিরদিনের জন্য ইতিহাসে খোদাই করা থাকবে।মানুষ তাকে ভাববে,শ্রদ্ধা করবে। তিনি আপনাদের কাছে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।আমার কাছে তিনি এখনো শেখ হাসিনা।আমার ধারনা যারা ইতিহাসের বাঁধা গুলো অতিক্রম করে উচুতে উঠে যায় তাদের নামের সাথে কোন বিশেষন দরকার হয়না।যেমন গান্ধী বললে এখন মোহন চাঁদ পরম চাঁদ গান্ধী,ট্যাগর বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,শেখ সাহেব বললে সারা দেশের মানুষ এবং বিদেশের মানুষও শেখ মুজিবুর রহমান বুঝবে তেমনি শেখ হাসিনা সব বিশেষণের উর্ধ্বে।শুধু হাসিনা নামেই সারা বিশ্বে পরিচিত এবং তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটিকে তাই অনতশীরে স্বরন করি।