করোনা মোকাবিলায় নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে: বাংলাদেশ
প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০, ২৩:৫১
বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে সবার সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (১৮ মে) রাতে জেনেভাতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে ভার্চুয়াল বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা বলেন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য অসমতা কমাতে হবে এবং গরীবদের সহায়তা দিয়ে মানুষের মঙ্গলের জন্য নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশের অর্থনীতিতে পুনরায় চাঙা করার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ওষুধ বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে সুলভ মূল্যে সমতার ভিত্তিতে সবাই যেন অধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’ মহামারি মোকাবিলা করার জন্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন সেটি দেওয়া উচিৎ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য আমাদের ডিজিটাল স্বাস্থ্য সমাধান তৈরি করতে হবে।’সবার জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য এই গোটা প্রক্রিয়ায় আমরা যেন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে আমাদের প্রতিশ্রুতি ভুলে না যাই সেটা মনে রাখতে হবে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের গোটা সরকারি ব্যবস্থা মহামারি মোকাবিলায় কাজ করছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কৌশল অনুযায়ী আমরা কোভিড-১৯ জাতীয় প্রস্তুতি ও রেসপন্স পরিকল্পনা তৈরি করেছি।’
মন্ত্রীর বক্তব্যের পরে জেনেভাতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান বলেন, ‘মহামারি মোকাবিলা করতে হলে অসমতার যে পার্থক্য সেটি না যেন বেড়ে না যায় সেটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি সমাজেই অসমতা আছে এবং এটিকে বাড়িয়ে দেয় এমন কোনও কিছু আমরা চাই না।’
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ কাজ করছে এবং অনেকের থেকে ভালো করছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসডিজির যে লক্ষ্য ৩ (গোল ৩) বিশেষ করে ৩.৮ লক্ষ্যটি—যেখানে ইউনির্ভাসাল হেলথ কভারেজ বিষয়টি বলা আছে সেটি যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য সব পদক্ষেপ নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’