যশোরের চৌগাছার পাশাপোল ইউপির বাড়িয়ালী গ্রামের আবু তালেব, নওশের আলী ও শামসুন্নাহার। বয়স তাদের ৯৫, ৮৬ ও ৭১ বছর। এখনো নাম ওঠেনি বয়স্ক ভাতায়। তাদের প্রশ্ন, চোখের সামনে ৪৫-৫০ বছরের অনেককে বয়স্ক ভাতা নিতে দেখেছি। আমাদের বয়স আর কত হলে বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবো বাবা? বয়সের ভারে ন্যুব্জ তিনজনই ছেলেদের সংসারে বোঝা হয়ে আছেন। বারবার ঘুরেও সহায়তা পাননি জনপ্রতিনিধিদের।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আবু তালেবের বয়স ৯৫, নওশের আলীর ৮৬, ও শামসুন্নাহারের ৭১ বছর। তবে পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, তাদের প্রকৃত বয়স আরো বেশি। সরকারি নিয়মে ৬৫ বছরের পুরুষ ও ৬২ বছরের নারীরা বয়স্ক ভাতার আওতায় আসবেন। অথচ নির্দিষ্ট বয়সসীমা পেরিয়ে গেলেও ভাতা পাচ্ছেন না এই তিনজন। স্থানীয়রা জানায়, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য মাথাপিছু দুই হাজার টাকা দিতে হয় ইউপি মেম্বারকে। নইলে তিনি কার্ড করেন না।
জানতে চাইলে পাশাপোল ইউপি মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, স্থানীয়দের দাবি সত্য নয়। আবু তালেব আমাকে বলেছে সে সরকারি টাকা নেবে না। আর নওশের আলী-শামসুন্নাহার সাবেক চেয়ারম্যানের পরিবারের লোক। এ কারণেই তাদের কার্ড করা হয়নি।
পাশাপোল ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম সবুজ বলেন, এত বয়স্কদের ভাতা কার্ড হয়নি, এটা আমার জানা ছিল না। মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব কার্ড করার ব্যবস্থা করব।