বিপণিবিতানগুলোতে শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতারা

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০, ১৫:৪৪

স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীতে সীমিত পরিসরে বিপণিবিতানগুলো খুললেও শারীরিক দূরত্ব মানছেন না ক্রেতারা। অনেকটাই কাঁচাবাজারের মতোই গা ঘেঁষে শপিং করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। তবে বিপণিবিতানগুলোতে আগের চেয়ে বেচাকেনা বেড়েছে।

রোববার (১৭ মে) রাজধানীর মিরপুর-১, ২, ১০, ১১, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সীমিত সময়ের জন্য মার্কেট খোলা থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি পণ্য কেনার একটি প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। তবে সবাইকে আরও সচেতন হয়ে চলা উচিত বলেও মনে করছেন তারা।

মিরপুর-১১ নম্বরে নান্নু মার্কেটে ছেলে-মেয়ের ঈদের জামা-কাপড় কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান দিলু। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘চেষ্টা করেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কে কার আগে কিনে বাড়ি যাবেন এ নিয়ে সবার মধ্যেই একটি তাড়া দেখা যাচ্ছে। বিকেল ৪টার পর সব বন্ধ। এ সময়ের আগেই সবাই কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে চাচ্ছেন। তাই প্রায় লোকজনই শারীরিক দূরত্ব মানছেন না।’

ঈদের কেনাকাটা করতে মিরপুর মোহাম্মদিয়া সুপার মার্কেটে এসেছেন গৃহিণী বেবী আক্তার। এ সময় কথা হয় বাংলানিউজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চার কাপড় ও ঘরের কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে করতে এসেছি। মার্কেটে ভিড় দেখে ভয়ই লাগছে। তবে দেখি যত দ্রুত সম্ভব কিনে চলে যাবো।’

অনেকই শারীরিক দূরত্ব তো দূরে থাক মাস্কও ব্যবহার করছেন না। এ অবস্থায় সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।

বিক্রেতাদের অনেকে জানিয়েছেন, মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে যাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে প্রতিটি দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রয়েছে।

এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়া আলভী ফেব্রিক্সের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেন, ‘গত কয়েকদিনের চেয়ে বেচাকেনা বেড়েছে। যদিও গত বছরের মতো হচ্ছে না। সময় স্বল্পতার কারণে মার্কেটগুলোতে ভিড়ও একটু বেশি। এ কারণেই কিছুটা হলেও ক্রেতারা শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। তবে প্রতিটি দোকানেই আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছি।’

রাজধানীর প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশমুখে ও দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা দেখা গেছে। ক্রেতারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে উৎসাহিত করছেন বিক্রেতারা। এছাড়া মার্কেটের প্রবেশমুখ থেকেই ক্রেতাদের হাত পরিষ্কার করতে হচ্ছে। দোকানের ভেতরেও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীরা বারবার সতর্ক করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার, তারা সেটি মেনে চলছেন এবং ক্রেতা সাধারণকেও সেটি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছেন।

এদিকে, সরকার অনুমতি দিলেও শপিংমল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকায় বসুন্ধরা সিটি শপিংমল ও যমুনা ফিউচার পার্ক খোলেনি। একইসঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে।

অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ঈদের বাজার করার জন্য শপিংমলে ভিড় বাড়বে। আর এ ভিড় থেকেই বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us