পবিত্র রমজানের সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত ২৭ রমজানের রাত। এটি ‘শবেকদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’ হিসেবে পরিচিত। এ রাতকে বিশ্বের মুসলমানরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন। লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এ রাতে মানবজাতির মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৩) হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’
লাইলাতুল কদর বোঝার কিছু আলামত হাদিসে বর্ণিত আছে। সেগুলো- এক. এ রাতটি রমজান মাসের। আর এ রাতের ফজিলত কেয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে। দুই. এ রাতটি রমজানের শেষ দশকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো।’ (সহিহ বোখারি) তিন. আর এটি রমজানের বেজোড় রাতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ করো। (বুখারি) চার. এ রাত রমজানের শেষ সাত দিনে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর (কদরের রাত) অন্বেষণ করতে চায়, সে যেন রমজানের শেষ সাত রাতের মধ্য তা অন্বেষণ করে।’ পাঁচ. রমজানের ২৭ রজনী লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।