আজ ১৮তম তারাবিতে সূরা আনকাবুতের ৫ম রুকু থেকে ৭ম রুকু (আয়াত ৪৫-৬৯) পর্যন্ত, সূরা রুমের ১ম রুকু থেকে ৬ষ্ঠ রুকু (আয়াত ১-৬০) পর্যন্ত, সূরা লোকমানের ১ম রুকু থেকে ৪র্থ রুকু (আয়াত ১-৩৪) পর্যন্ত, সূরা সেজদার ১ম রুকু থেকে ৩য় রুকু (আয়াত ১-৩০) পর্যন্ত এবং সূরা আহজাবের ১ম রুকু থেকে ৪র্থ রুকু (আয়াত ১-৩০) পর্যন্ত তেলাওয়াত করা হবে। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২১তম পারা। সূরা আনকাবুত : (আয়াত ৪৫-৬৯) : ৫ম ও ৬ষ্ঠ রুকুতে (আয়াত ৪৫-৬৩) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং তাঁর উম্মত অর্থাৎ আমাদের প্রতি কিছু উপদেশ বাণী উচ্চারণ করেছেন। নিষ্ঠাবান ইহুদি ও খৃস্টানদের সঙ্গে আমাদের আচরণ কেমন হবে, কাফেরদের সঙ্গে কীভাবে সমাজে চলাফেরা করবো সে সম্পর্কেও বলোা হয়েছে। পবিত্র কোরআন সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে। ৭ম রুকুতে (আয়াত ৬৪-৬৯) বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে কিছু কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কাফেরদের অন্তর জাগ্রত হয়। সূরা রোম : (আয়াত ১-৬০) : ১ম রুকুতে (আয়াত ১-১০) মুসলমানদের রোম বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। বলোা হয়েছে মুসলমানরা অচিরেই রোম জয় করবে। রোম ছিলো সে যুগের সেরা সভ্যতা। অল্প কয়েক বছর পরেই মুসলমানরা রোম শহর জয় করে নেন। ২য় রুকুতে (আয়াত ১১-১৯) বলোা হয়েছে, আল্লাহ প্রাণের সূচনা করেছেন। তিনিই আবার এর পুনরুত্থান করবেন। সেদিন বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে তাদের কর্মফল দেওয়া হবে। ৩য় ও ৪র্থ রুকুতে (২০-৪০) আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন উপমা দিচ্ছেন, বান্দা যেন এসব চিন্তা-গবেষণা করে আল্লাহমুখী হতে পারে।