ভেঙে পড়ছে বাঁধসহ অন্যান্য অবকাঠামো

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১৫

চলতি বছর তিস্তা ব্যারেজ থেকে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া গেলেও প্রকল্পের অর্ধেক এলাকাতেও সেচ দিতে পারছে না পরিচর্যাহীন ৩০ বছরের পুরোনো দেশের এই অন্যতম বড় সেচ প্রকল্প। তার ওপর শত শত ইঁদুরের গর্ত চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। যখন-তখন ভেঙে পড়ছে বাঁধসহ অন্যান্য অবকাঠামো। পুরোনো বাঁধগুলো পানির চাপ নিতে না পারায় ভেঙে পড়ছে খালের দুই পাড়। রোববার রংপুরের তারাগঞ্জে প্রধান খালের ৩৫ মিটার অংশ ভেঙে ভেসে প্রবল স্রোতের তোড়ে দুশ’ একরের বেশি ফসলি জমি, বেশ কিছু বাড়িঘর তলিয়ে যায়। গত বছরও একই উপজেলায় ভেঙে যায় সেচ ক্যানেল। এই পরিস্থিতিতে কৃষকের কাছে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, এক বছর আগে ওখান থেকেই পানি বের হয়ে ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যায়। তিন দশক ধরে খালের দুই পাড় পরিচর্যা না করায় শত শত  ইঁদুরের গর্ত ডেকে আনছে এমন বিপর্যয়। তাই পানি ছাড়ার আগে বাঁধ ভাঙার দুঃশ্চিন্তা পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেল ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার সঠিকভাবে কারণ বলা যাচ্ছে না। তবে বাঁধের দুই পাড়ে ইঁদুরের গর্ত ছিল। এবার তুলনামূলক এবার পানি পাওয়া গেছে উজান থেকে। তাই ৩৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বাড়তি ২০ হাজার হেক্টরে পানি দিতে গিয়ে ঘটছে এই দুর্ঘটনা।  রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের  তিস্তা সেচ প্রকল্প পরিচালক জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ জানান, গত বছর থেকে পর্যাপ্ত পানি আসছে। ক্যানেলগুলো খারাপ হওয়ায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।  এক লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার জন্য নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় বিস্তৃত প্রকল্পের সেচ অবকাঠামো। পুরো প্রকল্পটি সংস্কারের জন্য দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us