করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশের সব ধরনের শিশুখাদ্য, মিষ্টির দোকান ও সব বেকারি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যে কারণে খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। তাদেরকে দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে ২০ টাকা লিটার। কেরানীগঞ্জসহ রাজধানীর আশপাশে গত কয়েক দিন ধরেই এভাবে কম দামে দুধ কেনাবেচা চলছে। আর আবাসিক এলাকায় গিয়ে যারা দুধ বিক্রি করেন তারা সর্বোচ্চ ৩৫ টাকা লিটার দাম পাচ্ছেন। জানা গেছে, রাজধানী ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, বিক্রমপুর, সাভার, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে অনেক ডেইরি ফার্ম। এসব ফার্মের দুধ বিশেষ করে বিভিন্ন খাদ্য কোম্পানি ও বেকারি ছাড়াও মিষ্টির দোকানে পাইকারি বিক্রি হতো। বেকারিতে প্রচুর পরিমাণে দুধ লাগত। তবে করোনার কারণে মিষ্টির দোকানগুলো বন্ধ থাকায় রাজধানীর আশপাশের অভিজাত এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে দুধ। মিনি ট্রাকে করে ফার্ম থেকে দুধ এনে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর তারা ফার্ম থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পাইকারি কিনছেন দুধ। পথে পুলিশকে ‘কিছু’ দিতে হয় এ কারণে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। তা না হলে ২০ টাকা কেজি বিক্রি করা যেত বলে জানান বিক্রমপুর থেকে দুধ আনা সদর আলী।