প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ ছুটি পেয়ে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। যদিও এ ছুটি দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষকে বাড়িতে রেখে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত তিনদিন ধরে জরুরি পণ্যবোঝাই ট্রাক ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপার বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি। তবে রোববার (২৯ মার্চ) সাধারণ যাত্রীর ঢল নেমেছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। গাজীপুর থেকে আসা মাদারীপুরগামী যাত্রী রবিউল বাংলানিউজকে বলেন, গাজীপুর থেকে তিনটি গাড়ি বদল করে নবীনগর আসছি পরে ৪০০ টাকা দিয়ে প্রাইভেটকারে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। এখন ফেরি পার হতে পারলে বেঁচে যাই। গ্রামের বাড়ির সবাই অনেক চিন্তায় আছে। ফরিদপুরগামী গার্মেন্টস কর্মী মনিরা নামে এক যাত্রী বলেন, অফিস ছুটি হয়ে গেছে। মেয়ে মানুষ একা থাকাটা বিপদজনক। তাই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকবো বলে গ্রামে যাচ্ছি। অথচ পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যে অবস্থা তাতে সামাজিক দূরত্ব সম্ভব না। এজন্য ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠলাম আল্লাহ ভরসা।