বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা প্রতরোধে ছুটি ঘোষণা করে জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার মানুষ তাই নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। ফলে এ জনবহুল মহানগর এখন অনেকটাই ফাঁকা। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই জনশূন্য ঢাকায় মাস্ক ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে অপরাধ বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা নগরবাসীর। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা রয়েছেন চুরি আতঙ্কে। শুক্রবার রাজধানীর তুরাগ,উত্তরা, মিরপুরসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখামিলে এমন জনশূন্য চিত্র। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছে, রাজধানীতে সার্বক্ষণিক পুলিশ টহলে রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী ও নাইট গার্ডদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। এই কয়দিনে অপরাধ প্রবণতাও হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত দু'দিন ধরে রাজধানী ঢাকা মূলত অচল। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জুড়ে নীরবতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেখা যায়নি। কেউ বের হলেও তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। এমন জনশূন্য ঢাকায় অপরাধী ও মাদকসেবীরা চুরি-ডাকাতি করতে পারে বলে আশঙ্কা। দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হওয়ার আশঙ্কা করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। তুরাগের বাউনিয়া বটতলা এলাকায় স্টেশনারি ও মৌসুমি ল্যাইব্রেরি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, বলেন, আমার দোকানে কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। এই এলাকায় চোরের সংখ্যাও কম না।