১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের ২৩ বছর পর ১৪ দলীয় সরকারের অধীনে তাদের নিয়োগ করা নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন। এতে প্রশাসন, পুলিশ ও পোলিং অফিসারদের সার্বিক সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন ভোটকেন্দ্র দখল করে একেকজন শত ভোট দিয়ে ৪০ শতাংশ ভোটে ১৪৬ জন এমপি নির্বাচিত করলেও বাকি ১৫৪ জন নির্বাচনের জন্য তা-ও করার প্রয়োজন পড়েনি। জনগণ ওই নির্বাচন মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। এই রায় ক্ষমতাসীনদের একই ধরনের নির্বাচন করতে উৎসাহ জোগানোর কারণে পরে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সব স্তরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীরা এবং একই গোত্রভুক্ত ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও নামকাওয়াস্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নৌকার হাল ধরেছিলেন। ফলে নেতাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার নিশ্চিত ব্যবস্থা হয়েছিল। তাদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও আত্মীয়স্বজনদের দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পদে বসিয়ে আত্মীয়তার সূত্রে ও পদ পদবির জোরে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, কমিশনবাণিজ্য, নিয়োগবাণিজ্য ও ভর্তিবাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তর হতে থাকে।