টেস্ট ক্রিকেটে কিপিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহীম। ৩২ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ইতিমধ্যে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে জানিয়েছেন তার সিদ্ধান্ত। ডোমিঙ্গোও মুশফিককে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এক সময় কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়বেন না বলে গোঁ ধরে থাকা এই ক্রিকেটার এখন কাজের লোড ম্যানেজমেন্টকেই বড় করে দেখছেন, ‘টেস্টে কিপিং করতে খুব আগ্রহী নই। সামনের দিনগুলোতে অনেক খেলা। আমি সব ফরম্যাটেই খেলে থাকি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও খেলে থাকি। সব কিছু বিবেচনায় নিয়েই মনে হয়েছে বাড়তি চাপ হয়ে যাচ্ছে আমার ওপর।’ মুশফিকুর রহীমের কথা থেকেই উঠে আসলো- দীর্ঘদিন বাংলাদেশকে সেবা দিতে চাইছেন তিনি। সব ফরম্যাটে খেলেন বলেই কিছুটা নির্ভার থাকতে চাইছেন কিপিংয়ের দায়িত্ব থেকে, ‘আমি দীর্ঘদিন সেবা দিতে চাই। যেহেতু সব ফরম্যাটেই খেলছি, তাই আমার চিন্তা-ভাবনারও সময় দরকার। শেষ ৫ বছরে গুরুতর ইনজুরি আক্রান্ত হয়তো হইনি, কিন্তু সেভাবে উল্লেখযোগ্য বিশ্রামও পাইনি। তাই সামনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাই না, যেখানে দুই এক সিরিজের জন্য আমাকে বিশ্রাম নিতে হয়।’ বিশ্রাম নিতে চান না বলেই কিছু দায়িত্ব নিজ থেকে ছেড়ে দিতে চাইছেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘তেমন সম্ভাবনা যাতে না দেখা দেয় সে কারণেই আমি আমার কাজের চাপ কমাতে চাই। আর সেটা সম্ভব টেস্টে কিপিং না করে। এ কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া।’ মুশফিকুর রহীম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে হেড কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। ডোমিঙ্গোরও এতে আপত্তি নেই। দীর্ঘদিন ধরে মুশফিকুর রহীমের কিপিং নিয়ে সমালোচনা। বিশ্বকাপের পর থেকে তা বেড়ে গেছে আরো। মুশফিক অবশ্য জানিয়েছেন, টেস্টে কিপিং ছেড়ে দেয়ার পেছনে এসব সমালোচনার কোনো ভূমিকা নেই, ‘সমালোচনা নতুন নয়, এক বছর ধরে এটা হচ্ছে এমনও নয়। সবাই তো সাকিব আল হাসান নয়, যে ব্যাট-বলে শতভাগ দিতে পারে। আমার ব্যাটিং আর কিপিং হয়তো একই মানের নয়। আমারও ত্রুটি থাকতে পারে। যদি সমালোচনাই সব কিছু হতো তাহলে সব ফরম্যাটেই কিপিং ছেড়ে দিতাম।’ মুশফিক আরো জানালেন ম্যানেজমেন্ট চাইলে টেস্টে কিপিংয়ের আপত্তি নেই তার, তবে সাদা পোশাকে আর গ্লাভস হাতে দাঁড়াচ্ছেন না এখন, ‘ম্যানেজমেন্ট চাইলে ভবিষ্যতে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে পারি। এটা তাদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কিন্তু এখন আমি টেস্টে কিপিং করতে চাই না।’