শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সভা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন নিয়ে সম্প্রতি চট্টগ্রামের শ্রম আদালতের রায়ের আদেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন ও সরকারি মহলে লিয়াজোঁ করার জন্য চা শ্রমিক নেতা স্বপন সাঁওতালকে আহ্বায়ক ও প্রতিমা দাশ, অভিরত বাক্তিকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ভ্যালির চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে গত মঙ্গলবার দুপুরে কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদ জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় এ কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে গঠিত হয়। এতে উপদেষ্টা করা হয়- শ্রীমঙ্গল উপজেলার চা শ্রমিক অধ্যুষিত ৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বোনার্জি, কালিঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা ও সাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন শীলকে। সভায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন শীল, রাজঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজয় বোনার্জি, কালীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা, সাতগাঁও চা বাগানের সীতারাম অলমিক, দিলীপ কুমার কৈরী, রাজঘাট চা-বাগানের সেলিম আহমেদ, স্বপন সাঁওতাল, বিদ্যাবিল চা বাগানের বিকাশ রায়, সুন ছড়া চা বাগানের রাম দয়াল গোয়ালা, খেজুরী চা বাগানের পরিমল সিং বাড়াইক, অমর গোয়ালা, চুনারুঘাটের চান্দপুর চা বাগানের স্বপন কুমার সাঁওতাল, বেগমখান চা বাগানের চিত্তরঞ্জন রাজ বংশী, লস্করপুর চা বাগানের স্বপন গোয়ালা, কুলাউড়া ক্লিভডন চা বাগানের মুরলী ধর গোয়ালা, লংলা চা বাগানের লালন রাজভর, গাজীপুর চা বাগানের অশোক গোয়ালা, রামবিলাস দোসাদ, কমলগঞ্জ চাম্পারায় চা বাগানের সুজন মুন্ডা, শমসেরনগর চা বাগানের গোপাল মাদ্রাজী, চট্টগ্রাম ফটিক ছড়ির কর্ণফুলি চা বাগানের যোগেন মাদ্রাজি, জুড়ী ভ্যালির মুরলী ধর গোয়ালা, মদনমোহনপুর চা বাগানের প্রদীপ কালোয়ার, গাজীপুর চা বাগানের গোপাল কানুসহ ৭টি ভ্যালির প্রায় ৬০ জন প্রতিনিধি তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বক্তারা অবিলম্বে চট্টগ্রামের শ্রম আদালত চেয়ারম্যানের দেয়া রায়ের আদেশ দ্রুত কার্যকর ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি জোর দাবি জানান। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের ২য় শ্রম আদালতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়মিত সদস্য ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার বেলগাঁও চা বাগানের শ্রমিক মো. আবুল হোসেন ২০০৮ সালের ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন ও ফলাফল এবং ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর গঠিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের গঠিত এডহক কমিটি এবং ২০১২ সালের ৩০শে অক্টোবরে গঠিত ৩২ সদস্য কমিটি বেআইনি অকার্যকর মর্মে ঘোষণার আদেশ প্রার্থনা করেন। এতে বিবাদী করা হয় শ্রম পরিচালকসহ অপর ১১ জনকে। ওই মোকদ্দমায় ২০১৯ সালের ৩০শে জানুয়ারি চট্টগ্রামের ২য় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) সুলতান মাহমুদ এই আই আর মোকদ্দমা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একতরফাসূত্রে মঞ্জুরক্রমে ২০০৮ সালের ২রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের রেজি:নং-৭৭ এর নির্বাচন ও ফলাফল এবং ২০০৯ সালের ২৪শে নভেম্বর গঠিত এডহক কমিটি এবং ২০১২ সালের ৩০শে অক্টোবর গঠিত ৩২ সদস্যর কমিটি বেআইনি ও অকার্যকর মর্মে ঘোষণা করেন। এই রায় এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন  না হওয়ায় গত জানুয়ারি মাস থেকে বিভিন্ন চা বাগান ভ্যালিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ২০০৬ সালের নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির ব্যানারে সভা সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করে আসছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us