হৃদরোগ হাসপাতাল থেকে কোনো রোগীকে ফিরিয়ে দেয়া হয় না

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেছেন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি বিশেষায়িত হৃদরোগ হাসপাতাল। এই হাসপাতাল দেশের সর্বস্তরের মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। এই নিরলস চিকিৎসা সেবা দেয়ার মধ্য দিয়েই দেশের আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে দেশের যেকোনো প্রান্তের সাধারণ মানুষ যেকোনো ধরনের হৃদরোগের সমস্যায় পড়লেই সর্বপ্রথম এই হৃদরোগ হাসপাতালের কথা স্মরণ করে। এটা একটা বড় সফলতা। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালের বিছানা সংখ্যার চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি রোগী এখানে ভর্তি থাকলেও সবাই চিকিৎসা সেবা পায়। আর এই হাসপাতালের সেবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে যার অবস্থানে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে। মানবজমিনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি ও কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ ও টেকনোলজি উদ্ভাবনের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ সমগ্র বিশ্বেই অত্যন্ত স্বনামধন্য চিকিৎসক। এসব বিষয়ে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান থেকে বহু পদক ও পুরস্কারও পেয়েছেন। আমেরিকার ওয়াশিংটন টিসিটি সম্মেলন থেকে তিনি ‘গ্রেটেস্ট কেস অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড’ পদকে ভূষিতও হয়েছেন। অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের  ২৯শে অক্টোবর এ হাসপাতালের অতিরিক্ত ৪তলা ভার্টিকেল এক্সটেনশন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এবং প্রশাসনিক জঞ্জাল পরিষ্কার করে এ কাজটি এখন সফলভাবে শেষের পথে। বর্তমানের জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে সব মিলিয়ে বেড রয়েছে ৪১৪টি। এর সঙ্গে নতুন ভবনে আরো ৮৩৪টি বেড সংযোজিত হলে সর্বোমোট বেড সংখ্যা দাঁড়াবে ১২৪৮ এ। তখন এটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধুনিক হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র। উন্নত বিশ্বে হৃদরোগের যে ধরনের জটিল অস্ত্রোপচারসহ যে ধরনের আধুনিক চিকিৎসা হয়, এখানেও অতি অল্প খরচে সেই একই সেবা পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, অবকাঠামো বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসার ক্ষেত্রেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এই হৃদরোগ হাসপাতাল। এখানে দেশের অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় অত্যন্ত স্বল্পব্যয়ে বিভিন্ন ইন্টারভেনশনাল চিকিৎসা যেমন- এনজিওগ্রাম, স্টেন্টিং বা রক্ত নালিতে রিং লাগানো, পেসমেকার প্রতিস্থাপন, হৃৎপিণ্ডের ভাল্বের ত্রুটি সংশোধন এবং বাইপাস অপারেশন, রক্তনালির অপারেশনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এতে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।বর্তমানে অত্যাধুনিক ৩৮ বেডের আইসিইউ, ৭টি অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক সার্জারি অপারেশন থিয়েটার ও ১টি ইমার্জেন্সি ভাসকুলার অপারেশন থিয়েটার সর্বদা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ৩টি অত্যাধুনিক ভাসকুলার সার্জারি অপারেশন থিয়েটার অচিরেই চালু হবে।অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, পুরো হাসপাতালটিকেই নতুন আদলে আধুনিক মানের করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শুরু হওয়া উত্তর ব্লকের নিচ তলায় পুরাতন ক্যাথ ল্যাব বিভাগটি সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে মধ্য ব্লকের দ্বিতীয় তলায় স্থানান্তরের কাজ এগিয়ে চলছে। এতে করে একই ফ্লোরে ক্যাথ ল্যাব, সিসিইউ ও পিসিসিইউ সেবা রোগীরা অতি দ্রুত লাভ করবে। বর্তমান অর্থবছরে সিএমএসডির মাধ্যমে নতুন ও উন্নতমানের ২টি এনজিওগ্রাম মেশিন ক্রয় করা হয়েছে। এ ছাড়াও ক্যাথ ল্যাবের জন্য স্টেন্ট লাগালে রোগীরা কতটুকু উপকৃত হবে সেই লক্ষ্যে এফএফআর ও আইভাস নামক অত্যাধুনিক মেশিন সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও রোগীদের চিকিৎসার স্বার্থে, ৪উ আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন, নতুন কালার ডপলার ইকো মেশিন, ভাসকুলার ডপলার মেশিন, ইসিজি মেশিন সরকারি সব নিয়ম নীতি অনুসরণ করে ক্রয় করা হয়েছে। আমাদের সবার একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে কোনো প্রকার হয়রানি ও বিড়ম্বনা ছাড়াই যেন একজন রোগী স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় উন্নতমানের চিকিৎসা পায়। বিনামূল্যে ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক বলেন, সব রোগীকে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ স্ট্রেপটোকাইনেস সিসিইউ-১ ও সিসিইউ-২-তে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভর্তিকৃত সব রোগীদের প্রথম ২ দিন এবং ৪টি করে ওহল. ঊহড়ীধঢ়ধৎরহ-ও বিনামূল্যে দেয়া হয়। হৃদরোগ চিকিৎসায় অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় ওষুধও হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়। এ ছাড়া আমরা যে, বিভিন্ন ইন্টারভেনশনাল পদ্ধতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি তাতে প্রচুর উুব ব্যবহার করতে হয়। এটাও বেশ ব্যয়বহুল। ক্যাথ ল্যাবগুলোতে এই ওষুধটিও বিনামূল্যে দেয়া হয়। আর  জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে দেশের ভেতরে সরকারিভাবে বিনামূল্যে সরবরাহ এটাই প্রথম।নিজের কাজের কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, আমি সব সময় কাজ করতে পছন্দ করি। আমি ফলের আশা না করেই কাজ করি, এটা আমার নেশা। শুরুতে সবাই যেভাবে চাকরি জীবন শুরু করে, আমিও তেমনটাই করেছি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার কর্মজীবন শুরু। সেখান থেকেই দেশের মানুষের হৃদরোগ চিকিৎসা সেবা দিতে উদ্বুদ্ধ হই এবং হৃদরোগ চিকিৎসায় উচ্চতর শিক্ষা নেই। ১৯৮৪ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে আমি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করি। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ডক্টর অব মেডিসিন, এমডি কার্ডিওলজি এবং ২০০৪ সালে বার্মিংহাম, যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা মেডিকেল সেন্টারের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কার্ডিওলজি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করি। এরপর যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন অব গ্লাসগো এবং রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স, এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করি। যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি থেকে এফএসিসি ফেলোশিপও অর্জন করেছি। নাটোরের বড়াইগ্রামে আমার জন্ম। সেখানেই বড় হওয়া। স্কুল কলেজের পড়াশোনা শেষে ভর্তি হই রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। তিনি বলেন, আমি সর্বোতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি এদেশে হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং হৃদরোগ শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে কাজ করছি দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশন (বিএসসিআই) এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে এদেশের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিকে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে পেরেছি। আমি বাংলা ইন্টারভেনশনাল থেরাপিউটিক্স (বিআইটি) এর চেয়ারম্যান এবং কোর্স ডিরেক্টর। এই সংগঠনটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নেতৃত্বস্থানীয় ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির একটি সংগঠন। নিয়মিত প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার ও সম্মেলনের মাধ্যমে যুগোপযোগী হৃদরোগ চিকিৎসায় এই সংগঠন কাজ করছে। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের যাত্রা শুরু আমার গভর্নর হওয়ার মধ্য দিয়েই। এতে করে আমেরিকার কার্ডিওলজির এই সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরাও সম্পৃক্ত হলাম এবং হৃদরোগ বিষয়ক অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সবকিছুই এখন আমরা আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় করে করতে পারছি। নিজের গবেষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল সমূহে এ পর্যন্ত ২৪০টির মতো আমার গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিবন্ধ হৃদরোগ চিকিৎসায় অনেক অবদান রাখবে বলেও আমি বিশ্বাস করি। নিজের পাওয়া পুরস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড তো সবসময় সম্মানের। তবে এই সম্মানকে আমি দেশের সব চিকিৎসকদেরই সম্মান বলে মনে করি। আমি ২০০৭ সালে আমেরিকার ওয়াশিংটনের টিসিটি সম্মেলনে ‘গ্রেটেস্ট কেস অ্যারাউন্ড দা ওয়ার্ল্ড’ অর্জনের সম্মান পেয়েছিলাম। ২০০৯ সালে ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি এবং এন্ডোভাসকুলার মেডিসিনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টেকনোলজি (সিআরটি) থেকে ‘ইমারর্জিং ইয়াং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছিলাম। চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি সবার জন্য একটাই কথা বলি, মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের জন্য কাজ করুন। দেশের জন্য কাজ করুন। আমরা যেহেতু চিকিৎসক, আমাদের সুযোগ অন্য আর দশটা পেশার চেয়ে অনেক বেশি। মনোযোগ দিয়ে রোগীর সেবা করাই পরম ধর্ম এবং দেশ সেবার অন্যতম কাজ। মানুষের সেবার মাঝেই সব আনন্দ ও তৃপ্তি। অন্য কিছুতে তা নেই। আমার একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে রোগীর সেবা অর্থাৎ শ্রম, মেধা ও মনন খাটিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলা। আমি সুদক্ষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ তৈরি করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে যেসব কাজ করছি তার মূল লক্ষ্য কিন্তু দেশের রোগীদের সেবা করা। আমি সবার উদ্দেশ্যে বলব- হাতে কলমে কাজ শিখুন, প্রশিক্ষণ নিন, গবেষণা করুন, প্রকারান্তরে এদেশের রোগীরাই সুফল পাবে। দেশের গৌরব বাড়বে।হৃদরোগ এড়াতে কী করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান বলেন, যেকোনো রোগই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। হৃদরোগের ক্ষেত্রে এ কথাটা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। হৃদরোগ প্রতিরোধ যোগ্য। হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। স্বাস্থ্য সম্মত খাবার-দাবারে অভ্যস্ত হতে হবে। প্রতিদিন টাটকা শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। অধিক তেল-চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘণ্টা হাঁটতে হবে। ৪০ বছর বয়সের পর নিয়মিত কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টরল আছে কিনা দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। চিকিৎসক ও নার্সের অপ্রতুলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে প্রচুর সংখ্যক নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। চিকিৎসক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমার মনে হয় চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়দেরও প্রশিক্ষণ দরকার। উন্নত দেশে কিন্তু নার্স, আয়া, ওয়ার্ডবয়রা রোগী সেবায় খুব দক্ষ। আমরাও চেষ্টা করছি আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ নার্স, আয়া ও ওয়ার্ডবয় তৈরি করতে। চিকিৎসা একটি সম্মিলিত দলবদ্ধ প্রচেষ্টা। আমি আশাবাদী বাংলাদেশ হৃদরোগ চিকিৎসার একটি সর্বোৎকৃষ্ট পেশাগত জনবল তৈরি হবে। জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের অবদানের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন- বছরের ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালটি বিরতিহীনভাবে চলমান থাকে। আমরা হৃদরোগে আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে এসে পৌঁছলে তাকে ফিরিয়ে দিই না। এই মুহূর্তে বিছানার সংকট রয়েছে যা আমরা অচিরেই কাটিয়ে উঠবো। কিন্তু ফ্লোরে বা করিডরে রেখে হলেও আমরা সব রোগীকে সঠিক চিকিৎসা সেবাটা দিয়ে যাচ্ছি। বিছানা খালি নেই বলে আমরা কাউকে ফিরিয়ে দেই না। আমি মনে করি এটাই এই হাসপাতালের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য দিক।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us