বাংলাদেশি নারীকে মুম্বইয়ে বিক্রির পর...

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশি মহিলাকে কথিতমতে নাভি মুম্বইয়ে নেয়া হয়েছিল। যেখানে তিনি কয়েক দিন অবস্থান করেন এবং তারপরে তারই পারিবারিক বন্ধু, যাকে এখন মানবপাচারকারী বলে সন্দেহ করা হয়, তিনি তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করেছিলেন। শুক্রবার এই খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।  ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, একজন অজ্ঞাত পরিচয় টেলিফোনকারী মুম্বই পুলিশের সমাজসেবা শাখাটিকে মানবপাচারের ওই ঘটনা উদ্ঘাটনে সহায়তা করেছেন। ওই ফোনের সূত্রে পুলিশ ১৬ জন মহিলাকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে ১১ জনই বাংলাদেশি। গত বুধবার অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলা সমাজসেবা শাখায় ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, তাকে জোর করে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিক্রি করা হয়েছে। অপহরণকারীরা এর আগে তাকে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করেছে। ওই ফোনকলের পরে ভুক্তভোগী ওই বাংলাদেশি নারীর সঙ্গে সেন্ট্রাল মুম্বই পুলিশের একটি টিমের মধ্যে বৈঠক হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ভুক্তভোগী একজন বাংলাদেশি নাগরিক। একটি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছিলেন। তিনি এক পারিবারিক বন্ধুর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। ওই পারিবারিক বন্ধু তাকে ভালো বেতনে মুম্বইয়ে চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখান। চাকরি দেয়ার অজুহাতেই কিছুদিন আগে রাতে তাকে বেআইনিভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে নাভি মুম্বইয়ে নিয়ে যান। এরপর তাকে গ্রান্ট রোডের পতিতালয়ে বিক্রি করে দেয়।ওই মহিলা অভিযোগ করেন, পতিতালয়ের রক্ষী ও তাদের সহায়তাকারীরা মিলে তার ওপর নির্যাতন করে এবং তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। একদিন তার কাছে একজন খদ্দের আসে। তিনি খদ্দেরের কাছে তার দুঃখের কথা প্রকাশ করে সাহায্য চান। তখন খদ্দেরই তাকে সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চ অফিসের ল্যান্ড ফোনের নম্বর দেন। ভুক্তভোগী এরপর লুকিয়ে পতিতালয় থেকে বেরিয়ে বুধবার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি মার্গ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং তারপরে গ্রান্ট রোডের একটি ভবনের তিনটি কক্ষে অবস্থিত পতিতালয়ে অভিযান চালানো হয়। এখান থেকে মোট ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us