স্লিপে ‘ড্রপ’ ঠেকাতে মিশন

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

দুপুরের কড়া রোদে ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক বল ছুড়ছেন। তার বলে ব্যাট ছুঁয়ে দিচ্ছেন প্রধান কোচ রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গো। পেছনে স্লিপ ফিল্ডিং পজিশনে দাঁড়ানো ৭ ক্রিকেটার ঝাঁপিয়ে-লাফিয়ে লুফে নিচ্ছেন ক্যাচ। আগেরদিন ফিল্ডিং কোচ কুক জানিয়েছিলেন, এই জায়গায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। গতকাল শিষ্যদের একটা গ্রাফ দেখান তিনি। যেখানে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ড সবার উপরে। বলা চলে তাদের সফলতা শতভাগ। স্লিপে ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দলগুলো ক্যাচ ধরার সফলতা ৯০ থেকে ৭০ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ৬৫ শতাংশ সফল! সেই কারণেই দুই কোচ কোমর বেঁধে নেমেছেন। লম্বা সময় অনুশীলনের ফাঁকে দিয়েছেন নানান পরামর্শ। প্রথম দিন থেকেই ডমিঙ্গো ক্রিকেটারদের প্রধান সমস্যাটা ধরতে পেরেছেন। প্রধান কোচ স্পষ্ট করেই বলেছেন, স্লিপে বাংলাদেশের দুর্বলতার অন্যতম কারণ ফিটনেস ও মনোযোগের অভাব।গতকাল স্লিপ অনুশীলনে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমকে ঘিরে ছিলেন, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, আরিফুল হক ও সাদমান ইসলাম অনিক। ব্যাট ছুঁয়ে স্লিপে যাওয়া বলে ডাইভ দিয়ে দারুণভাবে ক্যাচ লুফেন তারা। সেই সময় ক্রিকেটারদেরকে প্রধান কোচ ডমিঙ্গো বলেন, ‘তোমাদের ক্যাচ ধরা অতটা খারাপ মনে হয়নি, আমার কাছে মনে হয়েছে তোমরা স্লিপে মনোযোগী না। এর কারণ বাংলাদেশের কন্ডিশনে স্লিপে খুব একটা ক্যাচ যায় না। এটা ছাড়াও আরেকটি কারণ ফিটনেসের অভাব।’ কোচের কথা শতভাগ সত্যি মানছেন ক্রিকেটারাও। এ বিষয়ে সৌম্য সরকার বলেন, ‘আসলে এটা একেবারেই সত্যি যে আমরা স্লিপে দুর্বল। কোচ আজ আমাদের দেখে বিষয়টি বলেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন আমাদের এই জায়গাটা উন্নতির জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হবে। এটা সত্যি যে, আমাদের উইকেট, কন্ডিশনে স্লিপে ক্যাচ আসেই না বলতে গেলে। ফলে অভ্যাসটা গড়ে ওঠে না। যে কারণে আমরা হঠাৎ দেশের বাইরে খেলেতে গেলে ক্যাচ মিস করি। আমি মনে করি, আমাদের অনেক বেশি অনুশীলন প্রয়োজন। আর ফিটনেসের কথা যেটি বলেছে সেটি মানতেই হবে। আমরা এখানেও বেশ পিছিয়ে আছি। ক্রিকেটে ফিটনেস ঠিক না থাকলে খেলা খুব কঠিন।’কোচের ফিল্ডিং ট্রেনিং নিয়ে আরেক ক্রিকেটার আরিফুল হক বলেন, ‘কোচ আমাদের বলেছেন আমরা স্লিপে সবচেয়ে পিছিয়ে। সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপ শুরু হচ্ছে যার জন্য এখানে উন্নতি করতেই হবে। আজ প্রধান কোচ ও ফিল্ডিং কোচ আমাদের অনেক সময় দিয়েছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা আমাদের সক্ষমতা দেখেছেন যে আমরা কতটা পারি! কোথায় কোথায় আমাদের দুর্বলতা আছে। ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়েও কথা বলেছেন তারা। বিশেষ করে ফিটনেসে উন্নতি করার বিষয়টা। নতুন কোচের কাজের ধরণটা আমাদের ভালো লেগেছে। তিনি আসলে বেশ খোঁজ-খবর নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন। যে কারণে কার কোথায় কী সমস্যা তার অনেকটাই জানা। আশা করি যে ভাবে তিনি কাজ করছেন তাতে আমাদের দারুণ উপকার হবে।’
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us