জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

‘রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ নাগরিকত্ব, সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে’

২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার গুলশানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এ মন্তব্য করেছেন।

হাসান আদিল
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৪ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২৩:০০
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:০৪ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২৩:০০


জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গা সমস্যার মূল কারণ নাগরিত্ব এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি।

২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার গুলশানে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা মিয়ানমারের, সমাধান তাদেরকেই করতে হবে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।’

কফি আনান কমিশনের রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের নাগরিত্বের বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে উল্লেখ করে তিনি তাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই নিরাপদ অঞ্চলে কে সুরক্ষা দেবে, সেটি বিবেচনার বিষয়। মিয়ানমারের দায়িত্ব হচ্ছে, তার নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়া।’

মানবিক দিক বিবেচনায় রাখাইন রাজ্যে সাহায্য সংস্থাগুলোকে কাজ করতে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাখাইনে সহিংসতা বন্ধের কাজ ও মানবিক সাহায্যদাতা সংস্থাগুলো যেন কাজ শুরু করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা এখন জরুরি।’

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি কুতুপালং অস্থায়ী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘সেখানে রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা, পানি, স্যানিটেশন ও খাদ্যের প্রয়োজন।’

শরণার্থী সংস্থার প্রধান ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার পর গত দু’দিন কক্সবাজারে ছিলেন। ঘুরে দেখেছেন বিভিন্ন অস্থায় ক্যাম্প।

এ সম্পর্কে  তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত চার লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। আমি সেখানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের ওপরে শারীরিক ও যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত মাসে একসঙ্গে ৩০ চেকপোস্টে রোহিঙ্গাদের হামলার পর অভিযানে নামে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভিযানের পর থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আরও অনেক রোহিঙ্গা এখনও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে। তবে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার হার কমছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

হিউম্যান রাইট ওয়াচ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রায় ২১৪টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে সেনাবাহিনী । এখন নতুন করে আবার আগুন দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে এমন অভিযোগ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল। রোহিঙ্গাদের সসম্মানে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়াই একমাত্র সমাধান হিসেবে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

প্রিয় সংবাদ/রিমন

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...