‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ট্যাম্পেয়ার উৎসবে ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’

যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্মচর্চা ও শ্রেণি বৈষম্যের ভেতর-বাহির।

মিঠু হালদার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৮, ১৭:০৭ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২
প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৮, ১৭:০৭ আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২


‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ‘জিরো-বাজেটে’ নির্মিত আশিক মোস্তফার চলচ্চিত্র ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ এবার প্রদর্শিত হচ্ছে ৪৮তম ট্যাম্পেয়ার চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে। ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেয়ারে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে গত ৭ মার্চ আর শেষ হবে ১১ মার্চ।

মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ ঢাকা শহরের নিত্যদিনের একটি আপাত সাধারণ দৃশ্যের সূক্ষ্ম ও ব্যঞ্জনাময় উপস্থাপন। একটি মাত্র শটে নেওয়া ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্মচর্চা ও শ্রেণি বৈষম্যের ভেতর-বাহির।   

গত বছর চেক রিপাবলিকে অনুষ্ঠিত জিলাভা ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টরি ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ জিতেছে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অস্কার মনোনীত ‘ক্রাটকা রাডস্ট (শর্ট জয়)’ পুরস্কার। এছাড়াও চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে তেহরান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব, স্পেনের মর্সিয়া চলচ্চিত্র উৎসবসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎসবে এবং বেলারুশের ভেলকম স্মার্টফিল্ম ফেস্টিভালে জিতে নিয়েছে ‘গ্র্যান্ড প্রিঁ ও পুরস্কার’।

আগামী সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি জার্মানির রেগেন্সবুর্গ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সপ্তাহে এবং এই মাসের শেষে লিথুয়ানিয়ায় ভিলনিয়াস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ফেস্টিভ্যাল ফেবারিটস’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে। ২০১৭ সালের ‘সিনেউরোপা’ শীর্ষ পাঁচ ইউরোপিয়ান শর্টসের তালিকায় সেরা নন ইউরোপিয়ান শর্ট ফিল্ম হিসেবে স্থান করে নেয় ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’।

খনা টকিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তখন গ্রাজ্যুয়েশন ফিল্ম হিসেবে তিনি ফুলকুমার (২০০২) তৈরি করেন। চলচ্চিত্র অঙ্গনে এখনো ফুলকুমারকে গুরুত্বের সাথে স্মরণ করা হয়। কারণ এটি তখন ছবিটির নির্মাণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত একঝাঁক তরুণকে অণুপ্রাণিত করেছিল, যাদের অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত নির্মাতা।

তিনি ৭২০ ডিগ্রি, মেহেরজান ও আন্ডার কন্সট্রাকশনের মতো কিছু আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন। বর্তমানে ‘শূন্য-বাজেটে’ মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ‘ইনভেডিং প্রাইভেসি’ নামে একটি নিরীক্ষাধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সম্পাদনার কাজ করছেন।

খনা টকিজের ব্যানারে ‘ইন্টেরিয়র্স এন্ড এক্সটেরিয়র্স’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন।

প্রিয় বিনোদন/শান্ত  

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...