তামিম ইকবালের সঙ্গে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

‘এই স্কোয়াড অন্তত মাঠে নার্ভাস হবে না’

ম্যাচে কিছু ক্রিকেটারের শরীরী ভাষা প্রশ্ন তুলেছিল। নিদাহাস ট্রফিতে ১৬ সদস্যের দলে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন নির্বাচকরা।

সামিউল ইসলাম শোভন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২২ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩২
প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৮:২২ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ১১:৩২


তামিম ইকবালের সঙ্গে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টি-টোয়েন্টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ৬ তরুণ ক্রিকেটারের। ম্যাচে কিছু ক্রিকেটারের শরীরী ভাষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নিদাহাস ট্রফিতে ১৬ সদস্যের দলে তাই অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন নির্বাচকরা। কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নির্ভার হচ্ছেন এই ভেবে যে, এই স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা মাঠে নার্ভাস হয়ে পড়বে না।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ২০১৫ আসরের চ্যাম্পিয়ন দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বুধবার মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অ্যাকাডেমি মাঠে দাঁড়িয়ে নিদাহাস ট্রফির বাংলাদেশ স্কোয়াড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মনে হয়েছে স্কোয়াডে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রয়েছে। আর যা-ই হোক, মাঠে নার্ভাস হবে না। তাদের কাছ থেকে ভালো আশা করাটাই স্বাভাবিক।’

ইনজুরিতে কাটিয়ে এখনো শত ভাগ ফিট হতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার নিদাহাস ট্রফির প্রথম দুটি ম্যাচে মাঠে নামতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তবে ‘গুরু’ সালাউদ্দিনের চোখে সাকিব ফিরলে বাংলাদেশ দল আগের সেই শক্তিশালী জায়গায় ফিরবে।

‘সাকিব যদি ব্যাট করতে পারে, টিমের ব্যালান্সটা অনেক ভালো হবে। তামিম যদি ফিট হয়, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিংটা আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। আমাদের যে পাঁচজন সিনিয়র ব্যাটসম্যান আছে, তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। তারা তিনটা ফরম্যাটেই আমাদের লিড করছে। তাদের পারফর্ম করাটা খুব জরুরি’, বলেন সালাউদ্দিন।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ছয়জন ক্রিকেটারের অভিষেকের বিষয়ে এই কোচের অভিমত, এটা ক্রিকেট বোর্ডের কৌশল হতে পারে। কিন্তু যা করা হবে, সেটা যেন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই করা হয়। 

সালাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘এটা আসলে বোর্ডের স্ট্র্যাটেজি, তারা আসলে কীভাবে ক্রিকেটারদের গ্রো আপ করাবে। তারা যখন একটা ছেলেকে সুযোগ দেবে, তাকে সঠিকভাবেই সুযোগটা দেওয়া উচিত। একটা ছেলেকে বড় করার জন্য সবারই সাপোর্ট করা উচিত। আপনি যখন ছেলেকে একটা ম্যাচ খেলার পর ছুঁড়ে ফেলে দেবেন, সে কিন্তু ওই জায়গা থেকে ক্যারিয়ারের উন্নতি করতে পারবে না। অনেকে হয়তো ওই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু অনেকের ক্যারিয়ারে হয়তো বড়সড় প্রভাব (নেতিবাচক) পড়তে পারে। তাড়াতাড়ি টিমে ঢোকাটাও যেমন ভালো না, তাড়াতাড়ি টিম থেকে বের করে দেওয়াও ক্ষতিকর হতে পারে।’

শিরোপা জয়ী দল হয়েও চলমান প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সালাউদ্দিনের দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ১২ দলের মধ্যে গাজীর অবস্থান ১০ নম্বরে। ৬ ম্যাচে দুটি জয় আর চারটি হারে পয়েন্ট ৪। দলের এমন অবস্থার পেছনে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও দুর্বল বোলিং লাইনআপকে দায়ী করলেন তিনি।

নিজ দলের সমস্যা নিয়ে সাকিব-মুমিনুলদের এই শিক্ষক বলেন, ‘আমার পুরো দলেরই দুর্বলতা আছে। সেটা ব্যাটিংয়েই হোক, বোলিংয়েই হোক। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, আমাদের কোনো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা আমাদের অনভিজ্ঞ তরুণ বোলাররা জানে না। তাই প্রয়োজনীয় ফলটা পাচ্ছি না। প্রতি ম্যাচেই টস ভাগ্য আমাদের সাথে ছিল না। ব্যাটিংয়ে আমরা হয়তো খারাপ না। তারপরও আপনার টিমের পারফরম্যান্স নির্ভর করে আসলে আপনার বোলিং বিভাগের ওপর। বোলিং বিভাগ শক্তিশালী না হলে এ ধরনের ম্যাচে টিকে থাকা অনেক কঠিন।’

প্রিয় স্পোর্টস/আজহার

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...