করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য রাজধানীতে কেন্দ্র আছে ৪৭টি। এরমধ্যে ২৩টি কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) কোনোও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো ভ্যাকসিন সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। তাছাড়া আজ ঢাকায় ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭১৬ জন। সারাদেশ মিলিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ হাজার ৫৬৩ জন। এখন পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। সেই হিসাবে এই মুহূর্তে মজুত আছে ১ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ ডোজ ভ্যাকসিন।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকারের ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের ২০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রও টিকা পাঠাবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, আমেরিকার সরকার আমাদের জানিয়েছে- তারা আমাদের টিকা দেবে। তবে কী পরিমাণ দেবে সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আমরা চাইব যেন বেশি করে দেয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র ফাইজার বা মডার্নার টিকা দিতে চায়। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে চাই। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের জানিয়েছে দেবে।
টিকার মজুত দেড় লাখ, দ্বিতীয় ডোজ বাকি ১৪ লাখের বেশি
দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড টিকার মজুত রয়েছে আর মাত্র এক লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ ডোজ।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অধিদফতরটির দেওয়া তথ্যমতে, দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট টিকা দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৪৮ হাজার ৭৫৬ ডোজ। এই হিসাবে টিকা মজুত আছে আর মাত্র ১ লাখ ৫১ হাজার ২৪৪ ডোজ।
একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ায়, টিকা পেতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে: টিআইবি
একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ার কারণে, ভ্যাকসিন পাওয়ায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘যার ফলে সরকার এখন বিভিন্ন উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করলেও, এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য আসেনি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং দেশে টিকার কোনও সংকট সৃষ্টি হবে না।
আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে গিয়ে ফিরে আসছেন অনেকে
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এখনো অনেকে টিকাকেন্দ্রে যাচ্ছেন। কিন্তু টিকা যেহেতু নেই, সেহেতু তাঁদের ফিরে আসতে হচ্ছে।
রাজধানীর ৪৭ টিকাকেন্দ্রের ২৫টিতে এখন টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কোন কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে আর কোন কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে না, তা সাধারণ মানুষ জানে না। এ ছাড়া ৩৯টি জেলায় টিকা ফুরিয়ে গেছে। এসব জেলা সদরে ও উপজেলা হাসপাতালে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার কথা অনেক মানুষ জানে না।
ফাইজারের টিকা পাবেন সিরিয়াল অনুযায়ী নিবন্ধিতরাই
সিরিয়াল অনুযায়ী নিবন্ধিত ব্যক্তিরাই ফাইজারের টিকা পাবেন উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার নির্ধারিত চারটি টিকাদানকেন্দ্রে এই টিকা দেয়া হবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২১’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইজারের টিকা ও সিনোফার্মার টিকা দুটোই চলমান থাকবে। ১৩ তারিখে সিনোফার্মা থেকে আরো ৬ লাখ টিকা আসবে। তখন থেকে ফাইজারের টিকাদান কার্যক্রমও শুরু হবে।
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন