আসন্ন ঈদে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল সরকার। ওই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আজ ছিল প্রথম সরকারি ছুটির দিন। আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল ) রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে উপস্থিতি ভালো হলেও বিক্রিবাট্টা নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা। আর শপিংমলে আগতদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধিতেও তেমন আগ্রহ ছিল না।
রাজধানীর ঈদবাজার:মানুষ আছে কিন্তু ক্রেতা কম—প্রথম আলো: ৩০ এপ্রিল ২০১২:- বিক্রি কেমন হচ্ছে? প্রশ্ন শুনেই বেশ হতাশ হলেন আসিফ আহমেদ। ক্রেতাকে দেখানো শেষে পোশাক ভাঁজ করতে করতে বলেন, ‘মানুষ আসে, দেখে, চলে যায়।’ কিন্তু মার্কেট এলাকায় তো প্রচুর ভিড়। তাহলে বিক্রির এই হাল কেন? আসিফ বললেন, ‘ঈদের কেনাকাটার ভিড় যদি হতো, তাহলে এই ফুটওভারব্রিজে উঠতে আপনার ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকা লাগত। এর চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি ভিড় হয়।’
দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত—জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: ২৬ এপ্রিল ২০২১:- করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আগের নির্দেশনা কিছুটা সংশোধন করে দোকান ও শপিংমল রাত ৮টা পর্যন্ত খোলার রাখার সিদ্ধান্ত আসছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সার্বিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের এই অবস্থাটা কন্টিনিউ করতে হবে। সরকার সেই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, আগামীকাল (মঙ্গলবার) সেই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। যে অবস্থাটা আছে সেটাই আরও এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে।’
‘লকডাউন’ ৫ মে পর্যন্ত, বাড়ল শপিংমল খেলার সময়—বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: ২৮ এপ্রিল ২০২১:- করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এবারের আদেশে দোকান ও শপিংমল খোলার সময় বাড়িয়ে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখার কথা বলা হলেও গণপরিবহন ও অফিসের ক্ষেত্রে আগের বিধিনিষেধ বহাল থাকছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, তার মেয়াদ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হল।
লকডাউন: শপিংমল ও গণপরিবহন চালু হলে কী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে?—বিবিসি বাংলা: ২৫ এপ্রিল ২০২১:- বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যেখানে নমুনা পরীক্ষার বিচারে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৩ শতাংশ, কয়েকদিনের ব্যবধানে সেটি এখন ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও গত কয়েকদিন কিছুটা কম ছিল। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০১ জন মানুষ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলছেন, সংক্রমণের হার যতটুকুই কমেছে সেটি দেশে চলমান লকডাউনের কারণেই হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন