(প্রিয়.কম) নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড। অবিস্মরণীয় এই জয়ে ইংলিশদের অন্যতম নায়ক জোফরা আর্চার। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। গতি, সুইং ও বাউন্সার দিয়ে পরাস্ত করেছেন নামিদামি ব্যাটসম্যানদের।
ফাইনালের সুপার ওভারও করেন ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভূত ইংলিশ পেসার। দলকে এনে দেন নাটকীয় জয়। তবে পাঠকরা জেনে অবাক হবেন, আর্চার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর খেলেছেন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক নিয়ে।
৩০ মে মাঠে গড়ায় দ্বাদশ আসর। একদিন পরেই দুর্বৃত্তদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তার ভাই (কাজিন) আশান্তিও ব্ল্যাকম্যান। অপর ১০ ভাইয়ের চেয়ে তিনি ছিলেন গতি তারকার খুব কাছের। এ দুজন একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছেন আর্চার-ব্ল্যাকম্যান। এমনকি ২২ গজে ক্রিকেটও খেলেছেন তারা।
আর্চারের নিজের জন্মও বার্বাডোজে। পরে ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব নেন তিনি। নিজের ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ ইংল্যান্ডে পেসারের কাছেও পৌঁছেছিল। ভাই ও প্রিয় বন্ধুর এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছিলেন না জোফরা। তবে নিজের শোকটা কখনই প্রকাশ করেননি তিনি।
সেই শোক চেপে রেখেই পূর্ণ মনোযোগ দেন বিশ্বকাপে। আলাদা দেশ, কৃষ্টি-সংস্কৃতির হয়েও ইংল্যান্ডের হয়ে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ কুড়িটি উইকেট নেন আর্চার। শুধু তাই নয়, স্নায়ুর চাপ ধরে রেখেই বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে ইংল্যান্ডকে বহু কাঙ্খিত জয় এনে দিয়েছেন এই তরুণ পেসার।
এ নিয়ে দ্য টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্চারের বাবা ফ্র্যাঙ্ক বলেন, ‘আশান্তিওর মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছিল আর্চার। তারা দুজন সমবয়সী ছিল। মারা যাওয়ার আগের দিনও তাদের কথা হয়। এমন কাছের মানুষের মৃত্যু তাকে খুব পীড়া দিয়েছে। কিন্তু সে এ কষ্ট বুকে চেপে রেখে এগিয়ে গেছে। বিশ্বকাপের সময় এটা তাকে করতেই হতো।’
ছেলের প্রশংসা করে সিনিয়র আর্চার আরও বলেছেন, ‘জোফ্রে কতখানি ব্রিটিশ, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিল। কিন্তু ওর ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলা সমাজের সবস্তরের প্রত্যেককেই ক্রিকেট খেলতে অনুপ্রাণিত করবে, কারণ ক্রিকেটটা মূলত অভিজাত শ্রেণির খেলা হিসেবেই দেখা হয়।’
প্রিয় খেলা/আশরফ
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন