এক ব্যক্তি বারে গিয়ে মদ পান করতেন। আর মাতাল হয়ে তার গায়ের চাদর হারিয়ে আসতেন। এ কারণে তার বউ খুব বকা দিতেন। একদিন তিনি ঠিক করলেন, আজকে বারে যাওয়ার আগে গায়ের সঙ্গে চাদরটা খুব টাইট করে গিট্টু লাগায় নিবেন। যেন আর না হারায়। কথামতো কাজ করলেন।
রাতের বেলা ইচ্ছেমতো মদ পান করে বাসায় ফিরলেন ওই ব্যক্তি।
স্ত্রীকে দেখেই ঢলতে ঢলতে বললেন, ‘দেখেছো, আজকে গায়ের চাদর ঠিকঠাক আছে। একটুও নড়তে পারেনি।’
তার স্ত্রীর চোখ কপালে উঠল। তিনি বললেন, ‘তা ঠিক আছে। তোমার চাদর গায়েই আছে। কিন্তু তোমার লুঙ্গি কই?’
লুঙ্গি গেল উড়ে
চৌধুরী সাহেব: তোর মতো লুঙ্গি পরা ছেলের কাছে আমার মেয়ের বিয়া দিমু না।
আবুল: আপনে নিজেও তো লুঙ্গি পরছেন...
চৌধুরী সাহেব: আমার লুঙ্গি বেনারসি শাড়ির কাপড় দিয়ে বানানো দামি লুঙ্গি...
আবুল: চৌধুরী সাহেব, বেনারসি লুঙ্গি নিয়ে অহংকার করবেন না, মেজাজ গরম হইয়া গেলে আপনের লুঙ্গির নিচে ককটেল মাইরা লুঙ্গি উড়াইয়া দিমু...
চৌধুরী সাহেব: মুখ সামলে কথা বল...
এমন সময় চৌধুরী সাহেবের একমাত্র কন্যা ‘প্রিয়া’ দৌড়ে আসলো।
প্রিয়া: বাবা, আমি লুঙ্গি পড়া আবুলকেই বিয়ে করবো। তোমার বন্ধু খান সাহেবের ছেলে হাফপ্যান্ট পড়া ব্যাটারি সুমনরে বিয়ে করব না।
চৌধুরী সাহেব : এই লুঙ্গি পড়া আবুল্যারে পছন্দ কইরা তুই আমার বংশের মুখে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ময়লা লাগাইয়্যা দিলি।
আবুল প্রিয়ার হাত ধরে চৌধুরী সাহেবের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসছে। এমন সময় চৌধুরী সাহেব তাদের আটকানোর জন্য পিছন দিকে দৌড়ে
আসলেন। তখনই এক ঝড়ো বাতাস এসে চৌধুরী সাহেবের লুঙ্গি উড়াইয়া নিয়ে গেল। সেখানেই বসে পড়লেন চৌধুরী সাহেব এবং বাতাসকে উদ্দেশ করে চৌধুরী তখন সাহেব গান ধরলেন, ‘পাগলা হাওয়ার তরে, লুঙ্গি আমার যায় যে উড়ে...’।
পাঠকের মন্তব্য(০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন