প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত

নিজের সাথে কখনোই করবেন না যে অন্যায়গুলো

কখনো বুঝে হোক, কখনো আবার না বুঝেই অনেকে নিজের সাথে অবিচার করেন, অন্যায় করেন, এমন কিছু করতে নিজেকে বাধ্য করেন, যা অসম্ভব কষ্টকর।

রুমানা বৈশাখী
বিভাগীয় প্রধান (প্রিয় লাইফ)
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯
প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯


প্রতীকী ছবিটি সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) জীবনে চলার পথে ন্যায়-অন্যায় থাকবেই। কখনো-না-কখনো আমরা অন্যায়ের শিকার হই, কখনো নিজেরাও করে বসি গুরুতর কোনো অন্যায়। তবে অন্যায় যে কেবল আমরা অন্যের সাথে করি, তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে নিজের সাথেও অন্যায় করে বসি আমরা। কখনো বুঝে হোক, কখনো আবার না বুঝেই অনেকে নিজের সাথে অবিচার করেন, অন্যায় করেন, এমন কিছু করতে নিজেকে বাধ্য করেন, যা অসম্ভব কষ্টকর।

আজকের ফিচারে আমরা তেমন কিছু নিয়েই কথা বলব। জেনে নিন নিজের সাথে যে অন্যায়গুলো কখনোই করতে নেই। এতে নিজের যেমন কষ্ট হয়, তেমনি জীবনটাও এলোমেলো হয়ে যায়। কারো খাতিরে বা কোনো কোনো কিছুর জন্যেই এই অন্যায়গুলো করা অনুচিত।

১। ইচ্ছের বিরুদ্ধে বা কারো চাপে পড়ে বিয়ে করবেন না। এতে আপনার জীবন নষ্ট তো হবেই, পাশাপাশি অন্য আরেকটি মানুষের জীবন নষ্টের জন্যে দায়ী থাকবেন আপনি।

২। নিজের দেহকে কখনো নির্যাতন করবেন না। সম্পর্কে কষ্ট পেয়ে হাত কাটা, না খেয়ে থাকা, নেশা করা, ঘুমের ওষুধ খাওয়া ইত্যাদি কাজে ভালোবাসা প্রকাশ পায় না। বরং এসব কাজ হচ্ছে নিজের সাথে করা ঘোরতর অবিচার।

৩। কারো জন্যে নিজের জীবন নিয়ে নেবেন না। মনে রাখবেন, জগতে কেউ বা কোনো কিছুই আপনার জীবনের চেয়ে বেশি মূল্যবান নয়। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়। আত্মহত্যা হচ্ছে নিজের প্রতি করা সবচেয়ে বড় অন্যায়।

৩। অন্যের ইচ্ছায় এমন কোনো জীবন বেছে নেবেন না, যা আপনি চান না। আমরা অনেকেই পরিবারের বা জীবনসঙ্গীর ইচ্ছায় এমন কোনো পেশা বা লাইফ স্টাইল বেছে নিই, যা আমরা চাই না। ইচ্ছের বিরুদ্ধেই দিনের পর দিন একটা দমবন্ধ করা অবস্থায় আটকা পড়ে থাকি। একটিই জীবন, এভাবে নষ্টের মানে নেই।

৪। অন্যের ইচ্ছায় সন্তান গ্রহণ করবেন না। সন্তান কেবল তখনই নিন, যখন আপনি ও আপনার সঙ্গী প্রস্তুত একটি শিশুর দায়িত্ব নিতে। কেউ বলেছে বলে সন্তান নেবেন না।

৫। অন্যের খাতিরে কখনো নিজেকে অসম্মান করবেন না। জগতে কেউই বা কিছুই আপনার সম্মানের চেয়ে বড় নয়।

৬। জীবন মানে কাজ, জীবনে ব্যস্ততা থাকবেই। কিন্তু কখনোই অর্থের পেছনে ছুটতে গিয়ে নিজেকে অবহেলা করবেন না। নিজেকে সময় দিন পর্যাপ্ত, জীবনকে উপভোগ করুন।

৭। কখনো নিজেকে অন্যের হাতে নির্যাতিত হতে দেবেন না। গৃহ নির্যাতনের শিকার অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে নারীরা আছেন, যা ভাগ্যের পরিহাস হিসেবে নির্যাতনকে মেনে নিয়ে থাকেন। যদি তা-ই হয়, তবে নিজের সাথে অসম্ভব অন্যায় করছেন আপনি।

একটিই জীবন। আনন্দে বাঁচুন।

প্রিয় লাইফ/আর বি/আজাদ চৌধুরী

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...