রিয়াদে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী

রিয়াদে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০১ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০১
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০১ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:০১


রিয়াদে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

(বাসস) বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ১৭ অক্টোবর, বুধবার বিকেলে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জায়গায় এবং নিজস্ব অর্থে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নের যে কাজটা করার দরকার ছিল আমরা তা করেছি এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি এবং এই দায়িত্বটা আপনাদের সকলেরও থাকল।’

এ সময় শতবর্ষী মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কিভাবে চলবে সেই পরিকল্পনাটাও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র মাধ্যমে আমরা করে দিয়ে গেলাম, যাতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে চলতে পারে।’

দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দেশের বিমানবহরে আধুনিক নতুন বিমান সংযুক্ত করার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘এখন নিজস্ব বিমানেই তারা দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।’

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতার কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তিনি যে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন তাই নয়, বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন দেশে আমাদের নিজেদের জায়গায় নিজস্ব দূতাবাস হবে সে প্রক্রিয়াটিও শুরু করে যান। আমাদের নিজস্ব দূতাবাস ভবনটি আজকে উদ্বোধনের সময় আমার বারবারই মনে পড়ছিল আজ যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হত।’

‘১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস স্থাপনে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ শুরু করে এবং ওয়াশিংটন ও দিল্লীতে ভবন স্থাপন করলেও অষ্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে এই কাজ পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত সরকার বন্ধ করে দেয়।’

হজ যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাজিদের সুবিধার্থে তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার হজ অফিস মক্কাতে নিয়ে গিয়েছে এবং হজ মওসুমে হাজিদের সুবিধার্থে মক্কা এবং মদিনাতেও নিজস্ব জায়গায় অফিস তৈরির উদ্যোগ নেবে। এ ব্যাপারে জমি অথবা অফিসের জন্য ফ্লোর ক্রয় করার জন্যও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

সে সময় প্রধানমন্ত্রী হজকার্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সৌদি বাদশাহ এবং তার সরকারকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা সমাধানে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চ্যান্সেরি ভবনটা যখন তৈরি করা হয় তখনই আমার নির্দেশনা ছিল এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্দোবস্ত রাখার। দেশের ডিজিটালাইজেশনের সুফল এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মত প্রবাসীরাও পাচ্ছে।’

চ্যান্সেরি ভবন ব্যবহারকারীদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ সৌদি বাদশাহের সঙ্গে আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আমি বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে বাদশাহ তাতে সানন্দে সম্মতি প্রদান করেছেন।’

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেএসএ গোলাম মসীহ বক্তৃতা করেন।

প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ সেবা প্রত্যাশীদের জন্য ৫১০ বর্গমিটারের একটি শেডও নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রিয় সংবাদ/রুহুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...